ইমু একাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে ৬টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

নিজের ইমু অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ইমো তাদের নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে খুব সহজেই ইমো অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা যাবে।

১. টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করুনঃ নিরাপত্তার অতিরিক্ত ধাপ হিসেবে ‘টু স্টেপ ভেরিফিকেশন’ অথবা দুই স্তরের যাচাইকরণ ব্যবস্থা আছে ইমু অ্যাপে, যা চালু করলে নির্ভরযোগ্য ডিভাইস ছাড়া ফিচারটি বন্ধ করা যাবে না। আর নির্ভরযোগ্য মোবাইল ছাড়া অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে গেলেও লাগবে বিশেষ কোড। ফিচারটি চালু করার জন্য ব্যবহারকারীর ইমো অ্যাকাউন্টের ‘সেটিংস’-এ থাকা ‘অ্যাকাউন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি’ নামের অপশনটি থেকে এই টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করতে হবে। কেউ টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করতে চাইলে, অ্যাপটির সর্বশেষ আপডেট ভার্শন থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। অনেক সময় এ ব্যবস্থাটি চালু করার পর অ্যাপের পুরনো সংস্করণ দিয়ে অ্যাকাউন্টে আর প্রবেশ করা যায় না বলে নিজস্ব সাইটে লিখেছে কোম্পানিটি।

২. ফিশিংঃ ‘ফিশিং’ এক ধরনের সাইবার আক্রমণ, যেখানে ব্যবহারকারীকে প্রতারণামূলক ইমেইল, বার্তা বা জাল ওয়েবসাইটের লিংক পাঠিয়ে তার ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়। ফলে, এমন ফিশিং ইমেইল, মেসেজ বা ওয়েবসাইট থেকে বিরত থাকুন। সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে ইনবক্সের কোনো লিংকে প্রবেশ করা যাবে না। তাই যে কোনো জায়গায় নিজের লগইন তথ্য প্রবেশের আগে এর সত্যতা যাচাই করুন ও সতর্ক থাকুন।

আরও পড়ুনঃ

যেভাবে দেখা যাবে নিজের আইপি অ্যাড্রেস
কিবোর্ড এর F1 থেকে F12 বাটন – কোনটার কাজ কি?

৩. অ্যাপ আপডেট করুনঃ ইমু অ্যাপটি সব সময় সর্বশেষ আপডেট করে রাখার পরামর্শ দিয়েছে কোম্পানিটি। আপডেটে প্রায়শই বিভিন্ন এমন সিকিউরিটি আপডেট থাকে, যা পরিচিত বিভিন্ন নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান করে।

৪. অ্যাপে সংযুক্ত ডিভাইস রিভিউ করুনঃ নিজের ইমু অ্যাকাউন্টে অ্যাক্সেস আছে এমন ডিভাইসগুলোর তালিকা পর্যায়ক্রমে যাচাই করুন ও অপিরিচিত ডিভাইস সরিয়ে ফেলুন।
>> প্রথমে নিজের প্রোফাইল পেইজে যান। >> ‘সেটিংস’ অপশন বেছে নিন। >> ‘অ্যাকাউন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি’ অপশনটিতে চাপ দিন। >> ‘ম্যানেজ ডিভাইসেস’ অপশনে যান। >> এবার ডিভাইসের তালিকা থেকে অপরিচিত ডিভাইসটি বাদ দিয়ে ফেলুন। অ্যাকাউন্ট থেকে রিমুভ করে দেওয়া ডিভাইস থেকে আবারও যদি লগইন করতে চায় তাহলে নতুন একটি লগইন কোড লাগবে। ফলে, ওই ডিভাইস থেকে ব্যবহারকারীর কোনো তথ্য আর দেখতে পারবে না।

৫. পাবলিক ওয়াই-ফাই এড়িয়ে চলুনঃ ইমু ব্যবহার করার সময়, বিশেষ করে সংবেদনশীল তথ্য অ্যাপে লেখার সময় পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক এড়িয়ে চলুন। প্রতারণার ঝুঁকি কমাতে একটি নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য নেটওয়ার্ক ব্যবহার করুন।

৬. অ্যাকাউন্টের কার্যকলাপে নজর রাখুনঃ কোনো সন্দেহজনক লগইন বা অননুমোদিতভাবে কেউ অ্যাকাউন্টে প্রবেশের চেষ্টা করার বিষয়টি শনাক্ত করতে নিয়মিত অ্যাকাউন্টের কার্যক্রম পর্যালোচনা করুন। কোনো অস্বাভাবিক কার্যকলাপ লক্ষ্য করলে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিন।

আরও বিস্তারিত জানান জন্য ভিজিট করুন তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.imo.im