কাঠ বাদাম এর উপকারিতা – কখন কিভাবে খাবেন জেনে নিন

কাঠ বাদাম, যা আমাদের দেশে “বাদাম” নামেই পরিচিত, একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর বাদাম। এটি ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ। নিয়মিত কাঠ বাদাম খাওয়ার ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত উপকারিতা পাওয়া যায়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কাঠ বাদামে কি কি উপিকারিতা হয়েছে।

পুষ্টিগুণ:

ভিটামিন: কাঠ বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩, এবং ভিটামিন এ রয়েছে।

খনিজ: এতে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, এবং লোহা সহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: কাঠ বাদামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ফ্রি র‌্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

স্বাস্থ্যকর চর্বি: কাঠ বাদামে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড চর্বি থাকে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যগত উপকারিতা:

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: কাঠ বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর চর্বি LDL (খারাপ) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং HDL (ভাল) কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: কাঠ বাদামে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুনঃ
ড্রাগন ফল এর ১০টি অসাধারণ উপকারিতা
ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট | মাসে ৫ কেজি ওজন কমান

ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: কাঠ বাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো: কাঠ বাদামে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো: কাঠ বাদামে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং স্মৃতিশক্তি এবং একাগ্রতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: কাঠ বাদামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: কাঠ বাদামে ভিটামিন ই এবং খনিজ পদার্থ থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো: ত্বকের টান উন্নত করে এবং বয়সের ছাপ দেরি করে। ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং মুখের ব্রণ ও ফুসকুড়ি প্রতিরোধে সাহায্য করে। ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করে।

চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো: চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। চুল পড়া রোধ করে। খুশকি ও চুলের ঘোড়ার লেজের সমস্যা দূর করে। চুলকে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে।

কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম:

• কাঠ বাদাম কাঁচা, ভাজা, বা লবণাক্ত করে খাওয়া যেতে পারে।
• এটি সালাদ, দই, ওটমিল, এবং অন্যান্য খাবারে যোগ করা যেতে পারে।
• কাঠ বাদামের বাদাম মাখন, দুধ, এবং তেল তৈরি করা যেতে পারে।

প্রতিদিন কয়টা কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত:

• প্রতিদিন 23-30 গ্রাম (1 আউন্স) কাঠ বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
• বেশি পরিমাণে খেলে পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব, এবং ডায়রিয়া হতে পারে।