স্মার্টফোন ব্যবহারে এই ৮টি ভুল কখনো করবেন না

প্রযুক্তির এই যুগে প্রযুক্তির সাথে কানেক্ট থাকার জন্য আমারা সবাই বিভিন্ন ব্যান্ডের ভিন্ন ভিন্ন মডেলের স্মাটফোন ব্যবহার করি। স্মার্টফোন ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে। এই নিয়ম মেনে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে পারবেন আপনার শখের স্মার্টফোনটি। চলুন তাহলে যেনে নেওয়া যাক কি কি নিয়ম মেনে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে হবে।

সফটওয়্যার আপডেট এড়িয়ে যাওয়াঃ

নতুন স্মার্টফোন কেনার পর একটা সময় পর সফটওয়্যার আপডেট আসে। কিন্তু অনেকেই আছেন এই সফটওয়্যার আপডেট মাসের পর মাস এরিয়ে চলেন। এই সফটওয়্যার আপডেট এমন কিছু বৈশিষ্ট্য দেওয়া থাকে যা আপনার ফোনের ম্যালওয়্যার ভাইরাস প্রবেশ করতে বাধা দেয়। সফটওয়্যার আপডেট এর পাশাপাশি পাওয়া যায় অনেক গুলো নতুন ফির্চার। যা আপনার স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও ভালো করে। স্মার্টফোন ফোন হ্যাং হওয়া থেকে রক্ষা করে সফটওয়্যার আপডেট।

অ্যাপকে ফোনের সব পারমিশন দেওয়াঃ

প্লে স্টর থেকে আমারা নতুন কোন অ্যাপ ডাউনলোড করে ইনস্টল করার পর সেই অ্যাপ আমাদের ডিভাইসেই বেশ কিছু পারমিশন চায়। কিছু হয় প্রয়োজনীয় যা এই অ্যাপ অপারেট করার জন্য প্রয়োজন আর কিছু অপ্রয়োজনীয় বা অবাঞ্চিত। আর এখানেই ভুল করেন অধিকাংশ মানুষ। পারমিশনের নামে আপনার স্মার্টফোন এর ব্যাক্তিগত ফাইলের এক্সেস পেয়ে যায় তারা। তাই নতুন অ্যাপ ইনস্টল করার আগে যাচাই করুন তারা কি কি পারমিশন চাচ্ছে, তারপর পারমিশন দিন।

আরও পড়ুনঃ
ইমু একাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে ৬টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

অন্য চার্জার বা ক্যাবল ব্যবহার করাঃ

অন্যের চার্জার দিয়ে নিজের স্মার্টফোন চার্জ দিলে ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে। চোখে না পরলেও ভিতরে ভিতরে বিকল হয়ে যায় মোবাইল এর ব্যাটারি। বর্তমানে প্রায় সব স্মার্টফোন ইউএসবি টাইপ-সি চার্জিং পোট ব্যবহার করা হয় তা সত্তেও অন্য প্রযুক্তির চার্জার দিয়ে চার্জ দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এর ফলে কমে যেতে পারে স্মার্টফোন এর ব্যাটারির আযু।

সারারাত চার্জ দেওয়াঃ

বর্তমানে প্রায় সব স্মার্টফোন ব্যাটারি হেলথ নিয়ন্ত্রণ করার প্রযুক্তি থাকলেও সারারাত ফোন চার্জ করা একদম ঠিক না। কারণ সারা রাত ফোন চার্জ করলে মোবাইল এর ব্যাটারি হিট হয়ে যায়, যার ফলে ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ব্যাকআপ এড়িয়ে যাওয়াঃ

সারাদিন কত ছবি, ফাইল জমা হয় স্মার্টফোনে। সেগুলো আর অনন্তকাল ধরে ধরে সেভ থাকেনা স্মার্টফোন। তাই ফাইল ব্যাকআপ করার অপশন দেওয়া হয় স্মার্টফোন এ। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস দুটি অপারেটিং সিস্টেমেই এই সুবিধা পাওয়া যায়। গুরুত্বপূর্ণ ফাইল বা ছবি সেভ করে রাখার জন্য নিদিষ্ট সময় অন্তর ব্যাকআপ করে রাখা উচিত।

থার্ড পার্টি অ্যাপ ডাউনলোডঃ

অনেক অ্যাপ রয়েছে যে অ্যাপ গুলা গুগল প্লে-স্টোরে পাওয়া যায় না। যেমন এপিকে অ্যাপ। এই অ্যাপ গুলোকে থার্ড পার্টি অ্যাপ বলা হয়। টেক বিশেষজ্ঞদের মতে কোন থার্ড পার্টি অ্যাপ স্মার্টফোন এ ইনস্টল করা ঠিক না। কারন থার্ড পার্টি অ্যাপ গুলোতে ম্যালওয়্যার ভাইরাস থাকে যা আপনার ফোনের সমস্থ ব্যাক্তিগত তথ্য চুরি করে নিয়ে যায়। অ্যাপেল এ থার্ড পার্টি অ্যাপ ইনস্টল করা যায় না কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড এ থার্ড পার্টি অ্যাপ ইনস্টল করা যায়। তাই অ্যাপ ইনস্টল করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারঃ

পাবলিক ওয়াই-ফাই পেলেই আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করা শুরু করে দেই। কিন্তু এখানেও লুকিয়ে থাকে বিপদ। অনেক সময় পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক এ ম্যালওয়্যার ভাইরাস থাকে যা গুপ্তচরের মতো সব তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে।

ব্লুটুথ অন রাখাঃ

ইয়ারফোন বা হেডফোন ব্যবহার করার জন্য অনেক্ষন ব্লুটুথ অন করে রাখতে হয়। কিন্তু এর ফলেও আপনার স্মার্টফোন হ্যাকিং এর শিকার হতে পারে। তাই প্রয়োজন ছাড়া ব্লুটুথ অন রাখবেন না।